সোমবার, এপ্রিল ০৬, ২০০৯

মনে-আত্মায় বাঙালী


সবসময় মনে হয়
আমি নিস্পন্দ, নিথর ;
মাটিতে কান পাতি
কোন শব্দ নেই - পাথর ;
সমুদ্রের জলে চোখ রাখি
কোন রঙ নেই - গভীর ;
সূর্যে, প্রচন্ড জেদে, তাকিয়ে থাকি
তাকিয়েই থাকি, ভাবি অন্ধ হতে আর কতদূর ,
রাতে চাঁদ দেখি
সৌন্দর্যে মুগ্ধ হইনা একবার ,
তথাকথিত সমাজ বিবর্তনে, অকারনে জেলেতে বন্দী থাকি
তবুও ভয় নাই কিছু হারাবার ,
নিজের খোলসকে ছিঁড়ে ছিন্ন-ভিন্ন করি
মনে অনুভূতি আসে না কোনবার ,
নিজের বিবেকের টুঁটি চেপে ধরি
বল্ কি পরিচয় আমার ?

মাঝে মাঝে ভুল করে ভাবি
আমি কি আসলে পৃথিবীর কাছে ঋৃণী ?
কারন,যখন দেখি অট্টালিকায় বসে
পৃথিবী যাদের সবাইকে বানিয়েছে - '' ধনী '' ,
তখন নিজেকে বড় ভাগ্যবান মনে হয়
ধন না থাকুক, মনে এবং আত্নায় আমি '' ধনী '' ,

আমি থাকি পাশেই ছোট্ট কুটিরে
নাম রেখেছি তার - '' ধানী '' ,
লতা জন্মিছে উঠানভরে
ছাদে জমেছে পানি ,
বরষার প্রথম বৃষ্টি পড়ে
উঠান ভরিছে আনি ,
প্রত্যূষে পাখিরা কলরব করে
মধুরকন্ঠী- নাম না তাদের জানি ,
সূর্য যখন জানালা দিয়ে ঢুকে পড়ে
তখন ভোরে বাতাসে শুরু হয় কানাকানি ,

আমি যে মনে-প্রানে বাঙালী
আজ আমি যে শুধু তাই জেনেছি

কোন মন্তব্য নেই: